সময়গুলো ভালোই যায়। নতুন একজন
মানুষকে জয় করে নিতে পারার জন্যও
ছেলে-মেয়ে উভয়ের মধ্যেই একটা
আলাদা ভাললাগা কাজ করে।
একে-অপরকে জানতে শুরু করে, চিনতে
শুরু করে। নিজেদের মধ্যের সবকিছুর
ভেতরেই চলতে থাকে শেয়ারিং,
কেয়ারিং আর কমিটমেন্ট।
মানুষটাকে অনেক স্মার্ট মনে হয়।
বারবার নিজের প্রতি আফসোস হয়,
“আর কয়েকদিন আগে কেন জীবনে
আসলে না?”
ফোনালাপের একটা বিশাল জায়গা
জুড়ে থাকে তখন এই বন্ধুমহল। মেয়েটির
মুখে ছেলেবন্ধুদের কথা; কিংবা
ছেলেটির মুখে মেয়েবন্ধুগুলোর কথা
শুনতেও তখন খুব একটা খারাপ লাগে
না। সেটাতে সায় দেয়াতে.. একে-
অপরের প্রতি আলাদা আস্থা আসে,
“মানুষটা বড্ড ওপেন মাইন্ডেড; আমি
রিলেশন করেও আবদ্ধ নই” ... এমনকি
রাতে ফোন ওয়েটিং-এ পেলেও,
“আরে ব্যাপার না” বলে এড়িয়ে
যাওয়াটাও, আরেকজনের কাছে
গ্রীষ্মের শীতল বাতাসের মতই লাগে
...দিন দিন এভাবেই হাজারো
খুটিনাটির উপর ভিত্তি করে বাড়তে
থাকে ভালবাসা, বাড়তে থাকে
একে-অপরের উপর সিরিয়াসনেস।
‘একজন মানুষকে দেখে’, কখনই তার উপর
ভালবাসা আনা সম্ভব নয়। তখন যেটা
আসে, সেটা ভাললাগা। কিন্তু ধীরে
ধীরে.. ব্যাপারটা যখন ‘দেখা’
থেকে ‘বোঝা’তে চলে যায়,
ভালবাসাও তখনই আসে। অর্থাৎ শুরুর
দিকে.. “সে আমার জীবনে আসলে
তো ভালোই হয়” টাইপ অনুভূতিটা
ভাললাগা; আর “তাকে আমি চাই..
মানে চাইই” টাইপ অনুভূতিই
ভালবাসা!
তখন আর বন্ধুদের গল্প শুনতে ভাল লাগে
না। কিন্তু অপর মানুষটা তখনও আটকে
থাকে, তার সেই ইনোসেন্ট
অনেস্টিতে। আর তখনই ‘ফোনালাপ’
কনভার্টেড হয় ‘ঝড়ালাপ’এ ... আলাপটা
আলাপই থাকে, শুধু ফোনে আর মনে,
চলতে থাকে ঝড়!
এক পর্যায়ে; তখন রাতে ফোন
ওয়েটিং-এ পেলে, “তুমি আমার
চাইতে তোমার বন্ধুদের বেশি টাইম
দাও” টাইপ সেন্টেন্সটা তীরের মত
করে, অপরের ইগোতে হানা দেয়।
যেখান থেকে আগে রিপ্লাই আসলো
হাসিমুখে “আরে ব্যাপার না”; সেই
সেখান থেকেই এখন রিপ্লাই আসে,
“তো তুমি দাও না মনে হচ্ছে”
...ঝগড়ার শুরু এখান থেকেই; যেটাকে
স্মার্ট মানুষেরা আদর করে
‘কমপ্লিকেশন’ বলে ডাকেন। কিন্তু
সেই মানুষেরা তাদের সেই
‘কম্বিনেশন’এ আসা তথাকথিত
‘কমপ্লিকেশন’ শব্দটাকে তাঁড়াতে,
অ্যাট দা বিগেইনিং-এ “আরে
ব্যাপার না” ফ্রেজটা ব্যবহার করতে
পারেন না।
সম্পর্ক টেকে বিশ্বাসে.. শুধু
ভালবাসায় পেট ভরে না। কিছু সময়,
অনেক কঠিন মুহুর্তও পাশ কাটিয়ে
যাওয়া যায় এই একটা ছোট্ট ফ্রেজের
মাধ্যমে... “আরে ব্যাপার না” ..
Post a Comment