Export & Import.Nazmul stock lot.Garments Lot.Google Adsense Business.Of.Blogger.Youtube.Google Adwords.Web Hosting & Domain,*Hell My Dear Friend How Are You ? I M Nazmul Hassann From Bangladesh Dhaka Skype:nazmul.hassan94 Nimbuzz :-nazmulhassan93 Call:- 01191106887.01685341430.01839373442 www.nazmulgroupltd.com
Showing posts with label তোমায় নিয়ে হৃদয়ে আমার হাজার সপ্ন আঁকা. Show all posts
Showing posts with label তোমায় নিয়ে হৃদয়ে আমার হাজার সপ্ন আঁকা. Show all posts

তোমায় নিয়ে হৃদয়ে আমার হাজার সপ্ন আঁকা

premer photosBy.n.m.k.nazmul hassan
পদার্থবিজ্ঞানের মোটা বইটা হাতে নিয়ে আপনমনে হাটছি । মনে মনে নিউটন , আইনস্টাইন , ফ্যারাডের সূত্রগুলো আওড়াচ্ছি আর ঐ ব্যাটাগুলোর চোদ্দগুষ্টি উদ্দার করছি । একটু পর স্যারের বাসায় পরিক্ষা । অথচ যা পড়েছি সবই ভুলে গেছি প্রায় । হটাত্‍ ঠাস্ করে মাথার পিছনে কে যেনো থাপ্পড় দিলো । আমার তখন মেজাজ এমনিতেই গরম । তার উপর মাথার মধ্যে এতো নিখুঁত চপোটাঘাতের পর মগজের টেম্পারেচার গলনাংক থেকে স্ফুটনাংক পৌছে গেলো ।

দাড়িয়ে গেলাম । হাতের মুঠো পাকিয়ে , দাতে দাত চেপে ঘুরেই একটা ঘুষি দিতে গেলাম থাপ্পড়ের অসভ্য মালিককে ।কিন্তু আমার হাত মাঝপথেই থেমে গেলো । আমার সামনে নিশা দাড়ানো । ভারি পাওয়ারের চশমার আড়াল থেকে বড় বড় মাথাময় চোখগুলো দেখতে পেলাম । সেখানে তখন ভয় খেলা করছে। হাত নামিয়ে ঝাঝালো কন্ঠে বললাম "এখনই তো মাইর খাইতি । তারপর হসপিটালে নিয়ে যেতে হতো আমার ।" নিশা দ্বিগুন ঝাঝালো কন্ঠে বললো "তো কি করবো ? ধ্যান্দা পোলা । কয়বার ডাকছি জানিস ! কি চিন্তা করিস এতো ?"

আমি তখন বিমর্ষ কন্ঠে বললাম "আরেহ্ বলিস না । ঐ ব্যাটা নিউটন , আইনস্টাইনের সূত্র পড়তে পড়তে লাইফটা হেল হইয়া গেলো । টাইম মেশিন থাকলে অতিতে গিয়া সবডিরে খুন করতাম ।" আমার কথা শুনে নিশা হেসে কুটিকুটি । হাসতে হাসতে ওর চোখে পানি এসে গেলো । হাসলে ওকে বেশ ভালো লাগে । আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকি তার দিকে ।

ইন্টারের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি । নিশাটাও ভর্তি হয়েছে এখানে । বুয়েটে টিকার পরও কেনো সে এখানে ভর্তি হলো ঐ রহস্যের সমাধান হাজার ভেবেও খুঁজে পেলাম না । আমাদের আড্ডার প্রধান ছিলো নিশা । আমার বরাবরই এসব আড্ডা ভালো লাগে না , তার চেয়ে নিজের জগত্‍ নিয়ে থাকতেই বেশি ভালো লাগে । কিন্তু নিশার জন্য আড্ডাতে বসতেই হয় । কত যে ফন্দি করি পাগলিটার হাত থেকে বাচার ! কোন লাভই হয় না । একেবারে গ্রিক বীর হারকিউলিসের মতো দুর্নিবার নিশা ।

একবার বাসায় শুয়ে আছি । ও বার বার ফোন দিচ্ছিলো । আমি ইচ্ছা করে ফোন রিসিভ করিনি ।
নিশা বাসায় আসে । আম্মাকে জিজ্ঞেস করে "আন্টি সিয়াম কই ?" আম্মা হাসিমুখে দেখিয়ে দেন আমার রুম । আম্মা আব্বা নিশাকে এত্তো আদর করে আর সাপোর্ট করে যে মাঝে মাঝে কনফিউজ হয়ে যাই আসলে তাদের সন্তান আমি ! নাকি নিশা !

নিশা রুমে ঢুকে অনেকক্ষন ডাকাডাকি করে আমি । আমি তখন ভান করে আছি ঘুমানোর । নিশা একের পর এক ঝাড়ি দিচ্ছে । আর আমি প্রতিজ্ঞা করেছি আজকে আর যাই হোক ঘুম থেকে উঠবো না। একটু পর নিশা চলে গেলো । আর আমি তখন খুশিতে আটখানা । এখন আমার ছাম্মাকছাল্লো টাইপের নাচ দিতে ইচ্ছা করতেছে ।

মুখে ৩৬০ ওয়াটের বাল্বের আলোর মতো হাসি ফুটে উঠলো । হটাত্‍ ছপাত্‍ করে আমার সারা শরীরে পানি পরলো । আমি ধড়মড় করে উঠে বসলাম । তাকিয়ে দেখি নিশা একটা বালতি নিয়ে দাবাং স্টাইলে দাড়িয়ে আছে । ঐ দিন আমার কপালে নানান দুর্ভোগ জুটেছিলো । থাক ওসব না বলাই ভালো । তারপর থেকে আমি একেবারে ভালো ছেলে হয়ে গেছি । নিশার সব আজাইরা কাজে আমাকে হাজির দেখা যেতো।

এভাবেই চলছিলো সব । হটাত্‍ একদিন শুনি নিশার বাবা মারা গেছেন । খবরটা শোনার পর স্তব্ধ হয়ে গেলাম । আঙ্কেল আমাকে ভীষন আদর করতেন । আব্বা আম্মাকে নিয়ে দ্রুত তাদের বাসায় গেলাম । গিয়ে দেখি সেখানে অনেক মানুষ । আঙ্কেলের লাসটা যেখানে রাখা তার পাশেই আন্টি আর নিশা আহাজারি করছে । আম্মা দ্রুত গিয়ে নিশার আম্মুকে ধরলেন । নিশাকে ওভাবে কখনো কাদতে দেখি নি।

ঐ দিনই প্রথম নিশার জন্য আলাদা একটা টান অনুভব করেছিলাম । মনের গহিনে নিশা যে তার নিজের স্থান করে নিয়েছে সেই দিনই প্রথম খুঁজে পেলাম । ঐ দিন আঙ্কেলকে কবর দিয়ে আসার পর নিশা আমার দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে ছিলো । তার দিকে এগিয়ে গেলাম । প্রাণচন্বল নিশার কোন অস্তিত্ব খুঁজে পেলাম না ঐ নিশার মধ্যে । বুকের ভিতর একটা বিশাল শূন্যতা টের পেলাম সেদিন । নিশার কাছাকাছি যাওয়ার পরই , সে হু হু করে কেঁদে জড়িয়ে ধরলো আমাকে । শক্ত করে ধরে রইলো আমাকে । আমি সেদিন হতভম্ব হয়ে যাই । নিশাকে পাল্টা জড়িয়ে ধরার সাহস ছিলো না । কষ্ট হচ্ছিলো খুব ।

তারপর পুরো এক মাস নিশার সাথে দেখা করিনি । ওকে কিভাবে বলবো যে ওকে আমি ভালবাসি । দোটানায় আছি । ও কি আমাকে ভালবাসে ? এই ছাইপাশ চিন্তা করতে করতে এক মাস চলে গেলো । নিশা তখন আঙ্কেলের মিলাদ আর বাসার টুকটাক কাজ নিয়ে ব্যাস্ত ছিলো । আস্তে আস্তে সে স্বাভাবিক হয়ে উঠতে লাগলো আবার । আরো কয়েকমাস পর । নিশা তখন পুরোপুরি স্বাভাবিক । আমি অপেক্ষায় আছি ১৪ই ফেব্রুয়ারির । ঐ দিন যেভাবেই হোক ওকে বলবই বলবো । ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভোরে ওকে ফোন করে টিএসসিতে আসতে বললাম । ও জানতে চাইলো কেনো । কিন্তু আমি কিছু না বলে ফোন কেটে দিলাম ।

দাড়িয়ে ছিলাম । দূর থেকে দেখলাম নিশা আসছে । লাল সাদা একটা শাড়ি পরেছে সে । অপূর্ব লাগছে তাকে । পান্জাবিটা ঠিক করে নিলাম । ফুলগুলো আড়াল করে এগিয়ে গেলাম তার দিকে । তার কাছাকাছি গিয়ে তাকে অবাক করে দিয়ে একটা হাটু গেড়ে তার সামনে বসলাম । তারপর গোলাপ গুলো তার সামনে ধরে বললাম . .

"তোমায় নিয়ে হৃদয়ে আমার হাজার সপ্ন আঁকা , তুমি আমার সেই রাজকণ্যা , সপ্নে যাকে দেখা ।
তোমার জন্য হৃদয়ে আমার অনেক ভালবাসা , যেথায় আছে একটা ঘর , সুখ আনন্দে ঠাসা ।
জড়িয়ে নাও আপন করে এই আমাকে , হৃদয় দিয়ে বলছি তোমায় , ভালবাসি তোমাকে ।"

আবার বুক তখন ধুকপুক করছে । নিশার হাস্যজ্জ্বল মুখটা থেকে হাসি মুছে গেলো । আর আমার হৃদপিন্ড একটা বিট্ মিস করলো । নিশা কিছু বলছে না । চুপ করে দাড়িয়ে আছে । আমি আর কিছু না বলে উঠে দাড়ালাম । ঘুরে হাটা ধরলাম । হটাত্‍ ঠাস্ করে মাথায় থাপ্পড় মারলো কে যেনো । মেজাজ সপ্তমে চড়ে গেলো । ফুলসহ মুঠো এক করে ঘুরেই ঘুষি দিতে গেলাম । মাঝপথেই থেমে গেলো আমার হাত । নিশা দাড়িয়ে আছে । তার চোখে অশ্রু মেশানো হাসি খেলা করছে ।
আমার পান্জাবির কলার ধরে হ্যাচকা টান দিয়ে বলল "টানা ৫ বছর লাগিয়েছিস কথাটা বলতে । আর এক বছর গেলে তোকে খুন করতাম আমি ।" আমি তখন খুশি হব কি ! বাতাসের অভাবে খাবি খাচ্ছি । উফ্ কলারটা এত্তো জোরে ধরেছে ! একেই হয়তো বলে ভালবাসার সাইড এফেক্ট !

Pages

bkashwinslider
200

Nazmul Group Limited

love