ডাচদের সবচেয়ে বেশি লম্বা হওয়ার রহস্য,
বিশ্বে
উচ্চতার হিসেবে
এখন
সবচেয়ে
লম্বা
নেদারল্যান্ডসের অধিবাসীরা। তাদের মধ্যেও
আবার
পুরুষদের উচ্চতা
পৃথিবীর যে
কোনো
অঞ্চলের পুরুষদের চেয়ে
বেশি। কিন্তু
দেড়
শতাব্দি আগেও
চিত্রটা এরকম
ছিলনা
মোটেও। এমন
কি
হলো
যে
এই
দেড়
শ`
বছরে
ডাচরা
ছাড়িয়ে
গেল
সবার
মাথা?
দেখা
গেছে,
যেখানে
আমেরিকানদের গড়
উচ্চতা
৫ফুট
৯
ইঞ্চি,
ডাচদের
গড়
উচ্চতা
সেখানে
৬
ফুটের
ওপর।
অথচ
এই
ডাচরাই
ঊনবিংশ
শতাব্দির মধ্য
ভাগ
পর্যন্ত অর্থাৎ
মাত্র
দেড়
শ’
বছর
আগেও
ছিল
পৃথিবীর সবচেয়ে
খাটো
মানুষদের অন্তর্ভুক্ত, উচ্চতা
ছিল
গড়ে
৫
ফুট
৫
ইঞ্চি।
এই
অল্প
সময়ে
কী
করে
এই
উচ্চতার উল্লম্ফন হলো,
গবেষকদের কাছে
এ
ছিল
এক
বিরাট
কৌতুহলের বিষয়।
সম্প্রতি এই
কৌতুহলের জবাব
দিয়েছেন তারা।
তারা
বলেছেন,
ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচনের নিয়মেই
ঘটেছে
এই
ঘটনা।
অর্থাৎ
প্রাকৃতিকভাবে টিকে
থাকতেই
ডাচদের
উচ্চতা
বেড়েছে। ইউরোপে
ঋণাত্মক জন্মহার এখন
একটি
উদ্বেগের বিষয়।
গবেষণায় দেখা
গেছে,
লম্বা
উচ্চতার পুরুষদের সন্তান
উৎপাদনের হার
বেশি।
তাদের
মিলিত
হওয়া
এবং
উৎপাদন
প্রবণতাও বেশি।
সুতরাং
প্রকৃতির ভারসাম্য টিকিয়ে
রাখতেই
ডাচদের
মধ্যে
বিশেষত
পুরুষদের উচ্চতা
বেড়ে
যাওয়ার
ঘটনা
ঘটেছে।
অন্যদিকে, আরেকটি
গবেষণা
বলছে,
অর্থনৈতিক উন্নতি,
খাদ্যাভ্যাস ও
জীবনমানের বৃদ্ধিই এই
উচ্চতা
বৃদ্ধির কারণ।
১৯৮০’র আগেও ডাচদের
মাথাপিছু আয়
যা
ছিল,
এই
সময়ের
পর
দ্রুত
তা
বেড়েছে। তারা
তাদের
সন্তানদের উন্নত
জীবনচর্চা, ভাল,
পুষ্টিকর খাবার
এবং
সাচ্ছন্দ্য দিতে
পেরেছে
বলেই
বেড়েছে
উচ্চতা। ডাচরা
এখন
প্রচুর
পরিমাণে, গমের
রুটি,
মাংস,
পনির
এবং
দুধ
খেয়ে
থাকে,
যা
তাদের
উচ্চতার একটি
কারণ
বলে
মনে
করছেন
গ্রনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক
ড.
ড্রাক্কের।
তৃতীয়
কারণটি
বংশগতির। মনে
করা
হয়,
সভ্য
মানুষদের পূর্ববর্তী মানুষের উচ্চতা
বেশি
ছিল।
একটি
গবেষণা
এই
সংকেতও
দেয়,
যে
ডাচরা
আগে
লম্বাই
ছিল।
জীবনযাত্রার মান
পরবর্তীতে এই
উচ্চতাকে দমন
করে।
আবার
জীবনমান বাড়ায়
পূর্বের উচ্চতা
ফিরে
পেয়েছে
ডাচরা।
যে
কারণেই
হোক,
বিশ্বের উচ্চতম
মানুষগুলোকে দেখতে
হলে
নেদারল্যান্ডস যাওয়া
ছাড়া
গতি
নেই।
Post a Comment