Pages

Friday, 8 May 2015

জন্ডিস থেকে বাঁচবেন কীভাবে?

মাদের রক্তে বিলিরুবিন নামক এক ধরনের পিগমেন্টের মাত্রা বেড়ে গেলে জন্ডিস দেখা দেয়। তবে জন্ডিস কোনো রোগ নয়। এটি রোগের লক্ষণ মাত্র। জন্ডিসে অধিকাংশ ক্ষেত্রে লিভার আক্রান্ত হয়। তাই জন্ডিসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে কখনোই হেলাফেলা নয়। হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি এবং ই ভাইরাসগুলো লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি করে। যাকে বলা হয় ভাইরাল হেপাটাইটিস।
এছাড়াও লিভার সংক্রান্ত রোগ এবং বংশগতসহ আরও কিছু কারণে হতে পারে। অনেক সময় ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ারকারনেও জন্ডিস হয়। মাঝে মাঝে রক্তের নানা সমস্যা, পিত্তনালীর পাথর বা টিউমার এবং লিভার বা অন্য কোথাও ক্যান্সার হলেও জন্ডিস হতে পারে।
রক্তের লোহিত কণিকাগুলো একটা সময়ে স্বাভাবিক নিয়মেই ভেঙ্গে গিয়ে বিলিরুবিন তৈরি করে। যা পরবর্তীতে লিভারে প্রক্রিয়াজাত হয়ে পিত্তরসের সঙ্গে পিত্তনালীর মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্রে প্রবেশ করে। অন্ত্র থেকে বিলিরুবিন পায়খানার মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। বিলিরুবিনের এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় দেহে কোনো অসঙ্গতি দেখা জন্ডিস ধরা পড়ে। ফলে লিভারের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড বাঁধাপ্রাপ্ত হয়। তাই,
হেপাটাইটিস এ ও ই খাদ্য ও পানির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। ঢাকায় যারা সাপ্লাইয়ের পানি ঠিক মতো ফুটিয়ে পান না করেন তাদের মধ্যে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। বিশেষ করে ব্যাচেলর বা শিক্ষার্থীরা নিজেদের পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এদিকে একদমই খেয়াল করেন না। আর তারায় বেশি আক্রান্ত হয় এই রোগে। অপরদিকে হেপাটাইটিস বি, সি এবং ডি দূষিত রক্ত, সিরিঞ্জ এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই সবসময় বিশুদ্ধ খাদ্য ও পানি খেতে হবে। শরীরে রক্ত নেয়ার দরকার হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিং করে নিতে হবে। ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ব্যবহার করাটাও খুবই জরুরি।

No comments:

Post a Comment