১) ভাজা পোড়ায় ছোট্ট নিয়ম
না, ভাজা পোড়া খাওয়া একেবারে বাদ দিতে হবে না। তবে ভাজা কোন খাবার তৈরির পর সেটাকে ভালো করে কিচেম টিস্যু দিয়ে মুছে নিন এবং তারপর পরিবেশন করুন। এই কাজটি অনেকেই করেন না। অথচ এর মাধ্যমে বাড়তি তেলটা কিন্তু একদম ঝড়ে যায়।
২) অতিরিক্ত চিনির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ
অনেকেই রাঁধতে গিয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত মিষ্টি দিয়ে ফেলেন। যেটুকু প্রয়োজন,
সচেতনভাবে সেটুকুই দিন। বাড়তি দিয়ে অযথা কেন বাড়তি ক্যালোরি যোগ করা?
৩) বাড়তি তেলের ব্যবহার বন্ধ
অনেকেই ওপরে তেল ভাসা ছাড়া তরকারি খেতেই পারেন না। এই অভ্যাসটি একদম ত্যাগ করুন, দেখবেন হয়ে উঠেছেন ফিট।
৪) সব সবজিই রান্না করবেন না
হ্যাঁ, সব সবজিকে রান্না করার বদলে দৈনিক একটি সালাদ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ওজন কমানো হয়ে যাবে ছেলেখেলা।
৫) সব রান্নাই ভুনা নয়
মাখা মাখা ভুনা তরকারী ছাড়া খেতে ভালোই লাগে না? বদলে গড়ে তুলুন ঝোল খাবার অভ্যাস। ভুনা তরকারী মানেই অনেকতা বাড়তি তেল ও মশলা, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় মোটেই।
৬) তেলটাকে বদলে ফেলুন
রান্নায় ব্যবহার করেন ঘি, সয়াবিন , সরিষা ইত্যাদি তেল? চেষ্টা করে দেখুন বদলে সান ফ্লাওয়ার, অলিভ অয়েল কিংবা অন্য কোন স্বাস্থ্যকর তেল খাওয়া যায় কিনা। এগুলো দাম বেশি বটে, তবে অল্প ব্যবহার করলে সাশ্রয়ী হবে।
৭) মাংস থেকে চর্বি বাদ
অনেকেই ফার্মের মুরগির চর্বিটাকে ফেলে দেন না, গরু কিংবা খাসি তো ফেলেনই না। এই কাজটি ভুলেও করবেন না। বরং সচেতনভাবেই মাংস থেকে বাদ দিন সমস্ত চর্বি। কেননা রান্নার সময় এই চর্বি গলে গিয়ে ঝোলে মিশে যায় ও বাড়ায় আপনার ওজন।
৮) এক খাবার খাওয়ার অভ্যাস বাদ
ভাতের সাথে একটি তরকারী রেঁধেই দায়িত্ব শেষ আপনার? এই অভ্যাসটি ত্যাগ করুন। সাথে রাখুন হরেক রকমের সবজির আইটেম। এতে ভাত কম খাওয়া হবে, সবজি খাওয়া হবে বেশি।
৯) ভাতের ক্ষেত্রে সচেতন
বসা ভাত কিংবা রাইস কুকারের ভাত খান? ভুলে জান এই অভ্যাসের কথা। অবশ্যই ভাতের মাড় ফেলে ভাত রান্না করবেন।
Post a Comment