Export & Import.Nazmul stock lot.Garments Lot.Google Adsense Business.Of.Blogger.Youtube.Google Adwords.Web Hosting & Domain,*Hell My Dear Friend How Are You ? I M Nazmul Hassann From Bangladesh Dhaka Skype:nazmul.hassan94 Nimbuzz :-nazmulhassan93 Call:- 01191106887.01685341430.01839373442 www.nazmulgroupltd.com
Home » » রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা

রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা


রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা

তিনি নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। এছাড়াও তিনি ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের শিক্ষা কার্যক্রমের প্রোগ্রাম অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। অভিনয়, গান, মডেলিং, উপস্থাপনা সব দিকেই সমান পারদর্শি এই গুণি শিল্পী। এছাড়াও ‘ভ্যাসলিন হেলদি হোয়াইট’ নামক একটি অনুষ্ঠানে তিনি বিচারকের ভূমিকা পালন করেন।
গল্পটি এক দশক আগের
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াকালে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেন মেধাবী ছাত্র তাহসান। সে সময় মিথিলার সঙ্গে পরিচয়। সেই গল্প মিথিলার কাছেই শোনা যাক, ‘আমার এক বন্ধু তার ছোট ভাইয়ের জন্য তাহসানের অটোগ্রাফ নিতে যাচ্ছে। মূলত তাকে সঙ্গ দেওয়ার জন্যই তাহসানের বাড়িতে হাজির হওয়া।’ ওই সময় মিথিলাও তাহসানের কিছু গান শুনেছেন, কিন্তু ভক্ত হননি। তাই প্রথম পরিচয়েই তাহসানের ব্যান্ড ব্ল্যাককে নিয়ে অনেক সমালোচনা করেন মিথিলা। আর বুঝে ওঠার আগেই তাহসানের মনের ঘরে বাঁধা পড়লেন।

শুরুটা চিঠি বিনিময়ে
২০০৪ সাল, মোবাইল ফোন তখন অনেকটাই সহজলভ্য। ঠিক সেই সময় মিথিলার কাছে তাহসান লিখলেন একটি চিঠি। পরিচয়ের পরদিনই তাহসান চিঠি নিয়ে কলাভবনের প্রথম গেটের সামনে অপেক্ষা করছিলেন। এক সময় মিথিলার সামনে পড়ে গেলেন। মিথিলা কথা বললেন প্রথম। তাহসান অনুরোধ করলেন, ‘চলো হাঁটতে হাঁটতে কথা বলি।’ হাঁটতে হাঁটতে অনেক কথা হল। এক পর্যায়ে তাহসান সাহস করে মিথিলার হাতে গুঁজে দিলেন চিঠি। যাতে লেখা ছিল, ‘Some call it love at first sight, some call it infatution. I just ignore it.’ মনে মনে তাহসানকে পছন্দ করেছিলেন মিথিলাও। কিন্তু চিঠির উত্তর দিয়েছিলেন ফোনে। যার প্রথম বাক্যটি ছিল এমন, ‘এই এটা কী লিখেছ?’

এরপর থেকেই দুজনের ঠোঁট থেকেই ঝরতে থাকল কথার ফুলঝুরি। নিয়ম করে রাতভর চলত ফোনালাপ। শুধুই কি ফোনালাপ! রিকশায় চড়ে চলল ঠিকানাহীন ঘোরাঘুরি। চিঠি লেখা প্রসঙ্গে তাহসান বললেন, ‘যেহেতু আমার কবিতার প্রতি প্রেম, ভাবলাম ফোন করার আগে এক চিঠিই লিখি।’

মিথিলার জন্য গান
চলছে ফোনালাপ, আড্ডাবাজি ও চুপিচুপি ঘোরাঘুরি। এরই মধ্যে মিথিলার জন্য তাহসান লিখে ফেললেন গান। তাহসানের সুরে গান গাইলেন মিথিলা। গানের রেকর্ডিং ও অনুশীলনের মধ্যদিয়ে টানা আটঘণ্টা সময় পার হয়ে যায়। এই গান গাওয়ার মধ্য দিয়েই তাদের ভালোবাসা আরও ঘনীভূত হয়। গান শুধু তাদের শখ বা প্রফেশন নয়, দুটি জীবনকেও বেঁধে দিয়েছে একই সুতোয়। তাহসান বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কটা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পরিণত হয়েছে। তার কারণ হতে পারে আমরা একই ইউনিভার্সিটি পড়তাম, প্রায়ই আমাদের দেখা হতো, সাক্ষাতেও কথা হতো।’

ভালোবাসার শেষ কোথায়
প্রেম করেই ২০০৪-২০০৬ সাল পর্যন্ত কেটে গেল তাহসান-মিথিলার। সময়গুলো বেশ আনন্দে কেটেছে তাদের। সেই দুই বছর তাদের মধ্যে ঝগড়া কিংবা খুনসুটি কী হতো না! তাহসান বলেন, ‘প্রায় রাতের বেলা ওর সঙ্গে কথা বলতাম। আর সত্যি কথা বলতে, ফোনে কথা বলতে আমার ভাল লাগে না। মিথিলা বলে নয়, কারো সঙ্গেই ফোনে বেশিক্ষণ কথা বলতে ভাল লাগে না। রাত জেগে জেগে কথা বলার সময় আমি যখন ফোন রাখতে চাইতাম, ও বলত এত তাড়াতাড়ি ফোন রাখছ কেন? এসব নিয়ে সামান্য খুনসুটি হতো না, তা নয়। তবে তার স্থায়ীত্ব থাকত খুব অল্প সময়।’

বাজল বিয়ের সানাই
২০০৬ সালের ৩ আগস্ট এক সুতোয় বাঁধা পড়ল তাহসান-মিথিলার জীবন। তাহসান বলেন, ‘বিয়ের সময় আমার বয়স ছিল মাত্র ২৬ বছর আর মিথিলার ২৩ বছর। হঠাৎ করেই বিয়ে হয়ে গেল আমাদের। একবার মনে হচ্ছিল খুব তাড়াহুড়ো করেই কি বিয়ে করে ফেললাম! তখন অনেকেই বুঝিয়েছিল, বিয়ে করলেই সব শেষ। বিয়ের পর আর এত জনপ্রিয়তা থাকবে না। মেয়ে ভক্তরা সব দূরে সরে যাবে। বিয়ের পরে দেখলাম সেইরকম কিছুই হয়নি।’

সংসার গোছানো পালা
খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সংসার গুছিয়ে নিয়েছেন তারা। মিথিলা বললেন, ‘সংসার গোছানোর কি আর শেষ আছে! এখনও চলছে সংসার গোছানোর কাজ।’ তাদের একমাত্র মেয়ের বয়স বর্তমানে এক বছর চার মাস। তাকে নিয়ে বেশ কেটে যাচ্ছে দিন। তাহসান বলেন, ‘এখন আমি, মিথিলা আর আমাদের বাবু— তিনে মিলে খুব ভাল সময় কাটছে।’

মিল-অমিল
মিল-অমিল নিয়ে কিছুক্ষণ ভাবলেন তাহসান। তারপর বললেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় মিল হচ্ছে আমরা দুজনেই মেয়েকে খুব ভালোবাসি। আমি চাই মেয়েকে পিয়ানিস্ট বানাব।’ আর মিথিলা বললেন, ‘আমি চাই মেয়েকে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াব।’ পর মুহূর্তে দুজন একসঙ্গে বলেন, ‘মেয়ে নিজে যা হতে চায় তাই হবে। তার ওপর আমরা কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না।’

মান-অভিমান, ঝগড়াঝাটি
‘মান-অভিমান ঝগড়া আমাদের জীবনেরই একটি অংশ। সব মিলিয়ে মিলে মিশে থাকাটাই হচ্ছে সুখী জীবন। আমাদের বাবা-মার সঙ্গেও অনেক মান-অভিমান হয়। কিন্তু সেসব আমরা কখনই মনে রাখি না। ঠিক তেমনই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও ঝগড়া হয়। আবার আমরা সেসব ভুলেও যাই। এই তো জীবন। এমনই তো হওয়া উচিত।’— মান-অভিমান, ঝগড়াঝাটি নিয়ে এভাবেই বললেন তাহসান। মিথিলা বলেন, ‘তবে আমরা কেউ কারো ওপর বেশিক্ষণ মন খারাপ করে থাকতে পারি না। ওর বেশিক্ষণ অনুপস্থিতি আমার ভাল লাগে না। অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকলেও সব সময় ফোনে আমাদের কথা হয়। সব মিলিয়ে আমরা অনেক ভাল আছি। এই যে একসঙ্গে শুটিং করছি, গান গাইছি।’

বিয়ের আগে পরে
বলা হয়ে থাকে, বিয়ের আগে ভালোবাসার একরূপ আর বিয়ের পর অন্যরূপ। কেউ কেউ বলেন, বিয়ের পর ভালোবাসার রঙ ধূসর হয়ে যায়। কিন্তু তাহসানের ভাষ্য অন্যরকম। তিনি বলেন, ‘বিয়ের আগে প্রেম-ভালোবাসায় নানারকম সামাজিক বাধাবিপত্তিও থাকে। যেটা বিয়ের পরে থাকে না। যাই বলেন ভাই, বিয়ের পরে প্রেম করে শান্তি আছে। একসঙ্গে শুটিং, গান, ঘুরে বেড়ানো— কেউ বাঁকা চোখে তাকাতে পারবে না।’

Share this article :

Post a Comment

Pages

bkashwinslider
200

Nazmul Group Limited

love