Free Funny Images
Here you can get all funny wallpapers,funny photos,funny pictures and more free funny images.
Pages
(Move to ...)
Facebook
▼
(Move to ...)
Emergince Sied
▼
(Move to ...)
Online Business
Home
▼
Monday, 16 March 2015
poritakto premer golpo,bangla ekta pamer golpo
হ্যালো
,
সুমন
কি
করছিস
?
-
এইতো
আছি
একরকম
।
তোর
কি
খবর
?
-
ভালো
।
পরশুতো
ঈদ
।
আমি
বাসায়
ফিরছি
।
খুব
আড্ডা
হবে
।
-
হা
হা
হা
।
ওকে
,
বস
।
তাহলে
পরশু
দেখা
হচ্ছে
।
-
তোকে
আবার
দাওয়াত
দিতে
হবে
নাকি
।
-
না
না
।
কি
যে
বলিস
।
ওকে
ব্রাদার
মঙ্গলবার
কনফার্ম
।
-
পাক্কা
।
ভাবিকে
নিয়ে
আসবি
কিন্তু
।
-
শিওর
।
ফোনটা
রেখেই
মনটা
আজ
কেমন
জানি
বিষণ্ণ
হয়ে
গেলো
।
ইমরানের
কথাগুলি
এখনও
কানে
বাজছে
।
প্রতিবার
ঈদ
এর
দিনটা
এলেই
আমার
এমন
হয়
।
ঈদ
এর
নিমন্ত্রণ
এর
কথা
বললেই
আমার
মনে
একটা
অস্থিরতা
সৃষ্টি
হয়
।
একটা
সময়
কাটিয়ে
উঠার
যন্ত্রণায়
।
হিন্দু
বাড়ির
সন্তান
হিসেবে
একেবারে
শৈশবেই
আমার
মনে
একটা
বীজ
ঢুকিয়ে
দেওয়া
হয়েছিল
;
আমাদের
একটা
ধর্ম
আছে
,
ঠাকুর
আছে
,
দেবতা
আছে
,
যারা
আমাদের
সব
কর্মের
বিধান
করেন
!!
বাড়িতে
সকাল
সন্ধ্যা
নাটমন্দিরে
বাড়ির
বউয়েরা
,
মানে
আমার
কাকিমা
-
জ্যাঠিমারা
পুজো
দিতেন
।
যৌথ
পরিবারে
বড়
হওয়ার
দরুন
কিছু
সংস্কার
এমনিতেই
আমার
মনের
ভেতর
জন্ম
নিয়েছিল
।
কাজের
দরুন
দাদু
বেশীরভাগ
সময়
বাড়ির
বাইরেই
থাকতেন
।
বাবা
কাকারাও
ঠিক
একই
।
আর
তাই
পরিবারের
হর্তা
কর্তা
–
সবই
ছিলেন
ঠাকুমা
।
বাড়ির
বউদের
ক্ষেত্রে
একেবারে
দজ্জাল
শাশুড়ি
বলতে
যা
বোঝায়
তাই
ছিলেন
আমাদের
ঠাম্মা
।
তবে
হাত
চালানোর
কোন
ব্যাপার
ছিলনা
,
বউদের
খুঁত
ধরা
আর
সারাক্ষণ
গলা
উঁচিয়ে
চোপাবাজি
করা
ছিল
উনার
অন্যতম
প্রধান
কর্ম
।
মা
আমাকে
দুষ্টুমির
জন্য
বেতালে
,
পরক্ষণেই
যখন
কোনো
কাজের
জন্য
বকুনি
খেতেন
তখন
খুব
মজা
পেতাম
।
ঠাকুমার
চোখ
এড়িয়ে
বাড়িতে
মাছি
প্রবেশ
করতে
পারত
না
!
পান
থেকে
চুন
খসলেই
বিপদ
।
আমরা
যারা
কাকাতো
এবং
জ্যাঠতুতো
ভাইয়েরা
ছিলাম
সব
সময়ই
উনার
ভয়ে
গুটিসুটি
মেরে
থাকতাম
।
বাড়ির
পরিবেশ
তখন
এমনি
ছিল
যে
অন্য
ধর্ম
থাক
দূরের
কথা
হিন্দুদের
মধ্যেই
অন্য
জাতের
লোকজনের
সঙ্গে
আমাদের
উঠাবসা
ছিলোনা
।
তথন
আমাদের
পারিবারিক
অবস্থাও
যথেষ্ট
ভালো
ছিল
।
এত
শেকল
যুক্ত
পরিবেশের
মধ্যে
আমায়
স্বস্তির
বাতাস
এনে
দিত
স্কুল
।
স্কুলে
গেলে
আর
বাড়িতে
আসতে
ইচ্ছে
করত
না
।
কারণ
বাড়িতে
ঢুকে
গেলেই
সেই
শৃঙ্খল
।
আমাদের
বাড়ির
পাশেই
বিকেলবেলা
মাঠে
সব
ছেলেরা
ক্রিকেট
খেলছে
।
অথচ
আমাকে
জোর
করে
বিছানায়
শুইয়ে
রাখা
হয়েছে
।
খুব
কাঁদতাম
।
বালিস
বেয়ে
টুপটাপ
শব্দে
জল
পড়ত
।
ছুটে
যেতে
ইচ্ছে
করতো
মাঠে
।
পারতাম
না
।
আর
ঘুমও
আসতো
না
।
এই
বন্ধ
পরিবেশে
বড়
হওয়ার
দরুন
বোধ
হয়
কিছু
জেদ
চেপে
বসেছিলো
আমার
মনে
।
সেই
দিনের
কথা
।
আমি
স্ট্যান্ডার্ড
-
এইট
এর
ছাত্র
।
খানিকটা
বড়
হয়েছি
।
শরীরের
বিভিন্ন
পরিবর্তন
জানান
দিচ্ছে
বড়
হচ্ছি
দ্রুত
।
স্কুলে
ব্রেক
টাইমে
বন্ধুরা
মিলে
আড্ডা
দিচ্ছি
।
হঠাত
বাপ্পি
এবং
নৌসাদ
এসে
হাজির
।
বাপ্পি
বলল
–
কাল
কিন্তু
তোদের
সব্বাইকে
আমাদের
বাসায়
যেতে
হবে
।
ঈদের
নিমন্ত্রণ
।
নৌসাদ
বলল
–
আমার
মা
অনেক
ভালো
পিঠে
বানায়
,
তোদের
খুব
ভালো
লাগবে
,
তোরা
সবাই
আসবি
কিন্তু
।
বাপ্পির
সঙ্গে
আমার
বিশেষ
সখ্যতা
ছিল
।
বাপ্পি
আমাকে
আড়ালে
ডেকে
নিয়ে
গিয়ে
বলল
,
গত
বছরও
কিন্তু
তুই
গেলিনা
,
এইবার
কোনো
বাহানা
করলে
চলবে
না
,
তোকে
যেতেই
হবে
।
আমি
তাকে
বললাম
–
যাবো
এইবার
শিওর
।
মনে
একটা
ভয়
ছিল
,
কিশোর
মনে
সঙ্কোচ
ছিল
,
দ্বিধা
ছিলো
।
কিন্তু
তাতে
কি
?
বড়
হয়ে
গেছি
আমরা
।
বন্ধুদের
মধ্যে
সবচেয়ে
ভিতু
অসিত
যখন
বলল
,
আমিও
নিশ্চয়ই
যাবো
তখন
আর
কোনো
দ্বিধা
না
রেখে
ওদের
জানিয়ে
দিলাম
আমরা
যাচ্ছি
।
পরেরদিন
ঈদ
।
স্কুল
ছুটি
।
তখন
একটু
হাল্কা
পাতলা
বাড়ির
বাইরে
যাওয়ার
অনুমতি
মিলেছে
।
ক্রিকেট
খেলতে
পারছি
।
বিকেলে
সব
বন্ধুরা
জড়ো
হলাম
।
আজ
ক্রিকেট
খেলা
বন্ধ
।
কিন্তু
মজার
বিষয়
নিরেশ
,
বিমল
,
অজয়
,
সুকান্ত
,
সুমিত
,
রাকেশরা
সবাই
এলেও
অসিত
আসেনি
।
কালকেতো
ভালোই
গলাবাজি
করে
গেছিল
!
পরে
খবর
পেয়েছিলাম
ভীতু
অসিত
বাড়িতে
বলেই
দিয়েছিল
সে
কোথায়
যেতে
চায়
,
এবং
যা
হবার
তাই
হয়েছে
–
কেলানি
খেয়েছে
।
যাই
হোক
সবাই
মিলে
রওনা
দিলাম
।
প্রথমেই
গেলাম
নৌসাদ
এর
বাড়িতে
।
ওর
মা
আমাদের
খুব
আদর
করে
নিয়ে
গিয়ে
তাদের
বসার
ঘরে
বসতে
দিলো
।
তারপর
ভুঁড়ি
ভোজ
।
শেমাই
দিয়ে
তৈরি
সেই
বিখ্যাত
পায়েস
হাপুস
করলাম
তিন
বাটি
।
বন্ধুদেরও
একই
কন্ডিশন
।
তারপর
এল
পিঠার
পালা
।
পৌষ
সংক্রান্তিতে
আমাদের
বাড়িতে
যে
পিঠা
বানানো
হয়
সেই
পিঠার
সাথে
এই
পিঠার
কোনো
মিল
খোঁজে
পেলাম
না
।
নাম
জানা
হলো
না
।
তবে
একটার
মধ্যে
কামড়
বসিয়েই
...
তারপর
একথালা
কাবার
।
মোটামোটি
পেট
হাতাতে
হাতাতে
নৌসাদদের
বাড়ি
থেকে
বেরিয়ে
এলাম
আমরা
।
আন্টি
মানে
নৌসাদের
মা
আমাদের
রাস্তা
পর্যন্ত
এগিয়ে
দিয়ে
গেলেন
,
আদর
করে
বললেন
–
আবার
এসো
তোমরা
।
বললাম
,
আসবো
নিশ্চয়ই
।
অন্য
বন্ধুরা
পরে
কথা
রেখেছিলো
কিনা
আমি
জানার
চেষ্টা
করিনি
,
তবে
আমি
কথা
রেখেছিলাম
।
নৌসাদদের
বাড়ি
থেকে
বেরিয়েই
দেখা
হয়ে
গেলো
তৌফিকের
সাথে
,
সেও
আমাদের
সাথে
স্কুলে
পড়ে
।
এইবার
সে
ধরল
আমাদের
বাসায়
যেতে
হবে
।
আমরা
কোনোরকমে
তাকে
বুঝালাম
যে
আমাদের
এখন
বাপ্পিদের
বাড়ি
যেতে
হবে
।
কিন্তু
নাছোরবান্দা
তৌফিক
।
শেষে
তাকে
বলে
গেলাম
,
বাপ্পিদের
বাড়ি
থেকে
সোজা
ওদের
বাড়ি
যাবো
।
ছাড়পত্র
পেলাম
তৌফিকের
কাছ
থেকে
।
এইবার
আবার
বাপ্পিদের
বাসার
দিকে
রওনা
দিলাম
।
পথে
আবার
বিপত্তি
।
এইবার
রাবেকা
,
সেও
আমাদের
সাথে
পড়ে
।
আমাদের
দেখে
সে
অবাক
,
হা
হা
হি
হি
কত
হাসি
,
সাথে
ওর
বান্ধবিরা
।
আমরা
লজ্জা
পেলাম
।
এইবার
ও
ধরল
তাদের
বাসায়
যেতে
হবে
।
আবার
মহা
বিপদ
।
কোনো
রকমে
ওকে
বুঝালাম
আমরা
বাপ্পিদের
বাড়ি
থেকে
আগে
গিয়ে
আসি
তারপর
ওদের
বাড়ি
যাবো
।
শেষে
বাপ্পি
মিয়ার
বাসায়
গিয়ে
পৌছালাম
আমরা
।
বাপ্পি
তো
মহা
খুশি
।
সে
আনন্দে
নাচছিল
।
প্রথমেই
আমাকে
জরিয়ে
ধরে
একটা
ঝাপ্পি
দিল
,
বলল
–
ঈদ
মুবারক
।
সাথে
আমিও
ওকে
বললাম
,
ঈদ
মোবারক
।
সবাই
হৈচৈ
করে
বাপ্পিদের
বাড়িটাকে
মাথায়
তুলে
নিলাম
।
নৌসাদদের
বাসায়
এতটাই
খেয়ে
ফেলেছি
যে
এখানে
এসে
আর
খেতে
পারছি
না
।
তবে
বাপ্পিদের
এখানে
পিঠার
ক্ষেত্রে
দু
’
একটা
নতুন
আইটেম
চোখে
পড়ল
।
খুব
মজা
করে
খেলাম
।
কিছুক্ষণ
পর
হাজির
হলেন
এমন
একজন
মানুষ
যার
কথা
মনে
পড়লে
আমার
এখনও
কান্না
চলে
আসে
।
কারণ
তাকে
ঘিরে
আমার
অনেক
সুন্দর
স্মৃতি
আবর্তিত
হয়
।
বয়স্ক
মহিলা
।
বয়স
প্রায়
ষাট
এর
কাছাকাছি
হবে
।
বাপ্পি
বলল
–
এই
হল
আমার
বুয়া
।
কেন
জানিনা
সেদিন
বাপ্পির
বুয়া
আমাদের
সব
বন্ধুদের
মধ্যে
আমাকেই
প্রথমে
এসে
আদর
করে
বলল
,
নাম
কি
তোর
?
আমি
নাম
বললাম
।
সেই
শুরু
।
তারপর
ক্লাস
ক্লাস
ইলেভানে
পড়ার
সময়
বাপ্পি
বাড়ি
ভাড়া
নিয়েছিল
আমাদের
বাড়ি
থেকে
একটু
দূরে
।
তখন
নিয়মিত
আড্ডা
এবং
যাতায়াত
ওর
বাড়িতে
।
আদর
বলতে
যা
বোঝায়
,
সেই
বৃদ্ধ
মহিলা
আমার
আর
বাপ্পির
মধ্যে
কোনো
রেখা
টেনে
আদর
করতেন
না
।
কতদিন
গেছে
বাড়িতে
পেট
ভরে
ভাত
খেয়ে
গিয়েও
বাপ্পিদের
বাসায়
ভাত
খেয়েছি
,
কেননা
বুয়া
বলেছেন
খেতে
।
সবচেয়ে
মজার
বিষয়
,
বুয়া
অনেক
ভালো
ভালো
গল্প
বলতেন
,
আর
আমাদের
হাসাতেন
,
ইনফেক্ট
আমাদের
গার্লফ্রেন্ড
আছে
কিনা
তারও
খোঁজ
নিতেন
।
আর
বুয়ার
সেই
স্পেশালিটি
।
ঈদের
জন্য
যে
কাঁচা
পিঠা
বানানো
হত
তারমধ্যে
থেকে
বুয়া
একটা
নিজস্ব
কালেকশান
রেখে
দিতেন
।
তারপর
তা
ইউটিলাইজ
হত
সময়
অসময়ে
আমাদের
পিঠা
খাবার
বায়না
পূরনের
মধ্যে
দিয়ে
।
বছরের
যেকোনো
দিন
যেকোনো
সময়
আমাদের
জন্য
ঈদ
নিয়ে
আসতেন
বুয়া
।
আমাদের
সেই
যৌথ
পরিবার
আজ
আর
নেই
।
সব
ভেঙে
গেছে
।
ঠাকুমাও
নেই
,
দাদুও
নেই
।
পরিবারের
কঠোর
নিয়মতান্ত্রিকতাও
আজ
আর
নেই
।
আছে
শুধু
কিছু
স্মৃতি
।
সেই
রাতের
কথা
এখনও
বারবার
স্মৃতিতে
এসে
আঘাত
করে
।
যখন
আমি
বাপ্পির
বাসা
থেকে
ফিরে
এসে
চুপ
করে
বসে
আছি
।
মনে
একটা
চাপা
উত্তেজনা
।
কেউ
দেখে
ফেলেনি
তো
!
বাড়িতে
যদি
কেও
বলে
দেয়
।
তবুও
কিশোর
মনের
উত্তেজনা
।
যেন
কোন
কিছু
জয়
করে
ফিরেছি
।
টুপ
করে
আমার
ছয়
বছরের
ছোট্ট
ভাইটিকে
বলে
দিলাম
।
তারপর
ঠাকুমার
ন্যেওটা
আমার
ভাইটিও
টুক
করে
সে
খবর
মা
এবং
ঠাকুমার
কাছে
পরিবেশন
করে
দিল
।
তারপর
...
থাক
,
আর
বলে
লাভ
নেই
।
গঙ্গাজল
,
তুলসিপাতা
,
পৈতে
উঁচিয়ে
গায়েত্রি
মন্ত্র
এবং
আমার
শুদ্ধিকরণ
......
No comments:
Post a Comment
‹
›
Home
View web version
No comments:
Post a Comment