Pages

Saturday, 11 April 2015

রাত ১২:৩২ মিনিটে আমার গার্লফ্রেন্ড ফোন

রাত ১২:৩২ মিনিটে আমার গার্লফ্রেন্ড
ফোন
দিয়া কহিল জান্টুস তোমাকে দেখতে খুব
ইচ্ছে করিতেছে, একটু আসিবে। ——–এত
রাতে?
সকালে আসি জান পাখিটি। ——–না, এখনe
আসবা আমি জানালা খুলে বসে আছি তোমাকে দেখব
বলে। ১০ মিনিটের মধ্যে আসবা কিন্তু বলেই
ফোনটা কাটিয়া দিলো। পরে গেলাম
মহা টেনশনে, ৯
দিন গত হলো শীতের ভয়ে গোসল করি না,
আর
এখন কি না এমন আরামের কম্বল বিসর্জন
দিতে হবে?
ধ্যানে পড়িয়া গেলাম # নিরব এত সাধনার
প্রেম
তোর, শীতের
ভয়ে পিছিয়ে পরলে চলবেনা তোকে,
প্রেমিকের মনে এত ভয়
থাকতে নেই …..এগিয়ে যা #নিরব …..এগিয়ে যা ………
এক লাফ দিয়া খাট
হইতে নামিয়া গেলাম, শীত
কে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছি বীর
দর্পে।:-P মন
বলছে,
“হবে #নিরব তোকে দিয়েই হবে” জানপাখির
বাসার
সামনে গিয়ে এদিক সেদিক
তাকিয়ে আস্তে আস্তে গেইটের ভেতর
ঢুকতেছি এমন সময় শুরু হলো ঘেউ ঘেউ ঘেউ
হালার পাগলা কুত্তার দৌড়ানি ……..
ক্ষিচ
মাইরা দিলাম দৌড়,
আমি দৌড়াই পিছনে পিছনে কুত্তা ও
দৌড়ায়,
হঠাৎ করিয়া অন্ধকারে দৌড়ের স্পিড
বাড়াইতে গিয়া ব্রেক ফেইল
করিয়া পড়িয়া গেলাম
আবুল চাচার পুকুরে। কিছুক্ষণ
পুকুরে আত্মগোপন করিবার পর অনুভব
করিলাম দৌড়ে ব্যার্থ হইয়া কুকুর সাহেব
তার
নিজ
কর্মসংস্থলে ফিরিয়া গেছেন।
আস্তে আস্তে পুকুর
হইতে উঠিয়া আসছিলাম,
শুরু হইলো আরেক সমস্যা ৬০ কেজি ওজনের
শরীরটা ৮৫ কেজি হইয়া গেছে। :-Oজ্যাকেট-
জিন্স
প্যান্ট- জুতা পানিতে টইটম্বুর। রাগের
মাথায়
৩০৯৫ টাকায় ক্রয়কৃত জ্যাকেট খানা আবুল
চাচার
পুকুরেই বিসর্জন দিয়া বাসায়
ফিরিয়া আসছিলাম।
মন বলে …………..
“ব্যাপার না #নিরব, প্রেমিকার চাঁদবদন
মুখখানা দেখতে পারিসনি তাতে কি? গোসল
তো করেছিস, আগামী ৯ দিনতো তুই
একেবারে নিশ্চিন্ত”!!!!!!!

No comments:

Post a Comment